নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর ঠিক দু'দিন আগে হটাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুভঙ্গীর বাবা। হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুর কিছু সময় পরই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় পরিবারের বাকিদের মতো মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভাঙ্গী দে।
তারপরও মনের জোর নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিল সে। ঘটনার দু'দিন পর পরীক্ষা কেন্দ্রে যখন সে ঢুকছিল তখনও তার সঙ্গী বুকফাটা হাহাকার। চোখের জল মুছে উত্তর লিখতে বসেছিল সে। চলতি মাসের ২৪ তারিখ বুধবার প্রকাশিত হয়েছে পরীক্ষার ফলাফল। তাতে সে পেয়েছে ৪৬৭ নম্বর। তাতে খুশি তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে বাড়ির লোকজন। তবে শুভাঙ্গীর আফসোস তার এই সাফল্যের আনন্দ সে ভাগ করে নিতে পারল না বাবার সঙ্গে। সে বলে, 'বাবা থাকলে যে আজ ভীষণ খুশি হতেন। আমি হতভাগ্য সন্তান। নিজের সাফল্যের আনন্দও ভাগ করে নিতে পারলাম না বাবার সঙ্গে।' তবে বাবার স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ সে। মেয়ে চিকিৎসক হবে এই স্বপ্নই দেখতেন শুভাঙ্গীর বাবা সুজন কল্যাণ দে। তাই বাবার স্বপ্নের পথেই হাঁটতে চায় মেয়েও। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে সে। বসেছে প্রবেশিকা পরীক্ষায়।
No comments:
Post a Comment