নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে কেটেছে বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গা পূজা।এবার আলোর রস্নাইতেও লণ্ড ভন্ড করতে তৈরি প্রকৃতি।কারণ কালীপুজোর সময় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা পরপর প্রকট হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপটি ২২ অক্টোবর, শনিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার আরও ৪৮ ঘণ্টা পর শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
চলতি সপ্তাহের শেষে, আগামী সপ্তাহে শুরুতেই এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে।আগামী ২৪ অক্টোবর, সোমবারই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।আর ওই দিনই কালীপুজো। তবে ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ কোন দিকে থাকবে বা কোথায় আছড়ে পড়বে, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর।
এই ঘূর্ণিঝড় নিয়েই নবান্নের তরফে বিশেষভাবে সতর্ক করা হল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে। কালীপুজোর প্যান্ডেলগুলির পরিকাঠামো খুব পাকা পোক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এমনকি প্রয়োজনে বিভিন্ন বড় প্যান্ডেল গুলো জেলাশাসকদের তরফ থেকে গিয়ে সরজমিনে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। কোনো ভাবেই যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা তৈরি না হয় সেই কথা মাথায় রেখেই এমন নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলতে বলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাশাসকদের। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলিকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করেছে নবান্ন। পাশাপশি পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাগুলিকেও সব রকমের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলির মতো জেলাগুলিতে প্রভাব বেশি পড়বে। তারই সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও এর প্রভাব পড়বে বলেই গতকাল, বুধবারের বৈঠকে জানানো হয়েছে। তার জন্য ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম চালু করার পাশাপাশি যাতে সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার জন্যই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment