নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: ১৮৫৭ সালের ভারতের স্বাধীনতার জন্য পতাকা উত্তোলন করেছিলেন বাহাদুর শা জাফর, তখন পতাকার রং ছিল সবুজ এবং সোনালী। তার উপর আঁকা ছিল পদ্ম আর হাত রুটির ছবি ।
•১৯০৫ সালে ভগিনী নিবেদিতা যে পতাকার নকশা করেন সেটি ছিল লাল রঙের। চারিদিকে ছিল ১০৮ টি প্রদীপ। পতাকার মাঝখানে বাংলায় লেখা ছিল বন্দে মাতরম, এই লেখার মাঝেই ছিল হলুদ বজ্র।
• বিদেশের মাটিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন মাদাম ভিকাজি রুস্তম কামা। ১৯০৭ সালে জার্মানির স্টুটগার্ট-এ এই পতাকা উত্তোলন করা হয়।
•ঠিক তার দশ বছর পর ১৯১৭ সালে বালগঙ্গাধর তিলক এবং অ্যানি বেসান্ত স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য আরেকটি পতাকার কথা পরিকল্পনা করেন।
•১৯২১ সাল ছিল আরো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময় গান্ধীজি আরেকটি পতাকা সামনে নিয়ে আসেন। যার মাঝখানে ছিল চরকা আঁকা।
•১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের কথা ঘোষণা হলে গণপরিষদের অস্থায়ী কমিটি ভারতের জন্য একটি ত্রিরঙা জাতীয় পতাকা তৈরি করে। যার নকশা করেছিলেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। এই পতাকার নকশা ভারতীয় গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ২২শে জুলাই।
•ভারতের সর্বশেষ গৃহীত এই জাতীয় পতাকা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয়দের গর্ব। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু সংগ্রামের ইতিহাস আর আবেগ। এই ত্রিরঙা পতাকার গেরুয়া রং হল স্বার্থহীনতা, সৌর্য আর ত্যাগের প্রতীক। সবুজ রঙ হল সুজলা-সুফলা ভূমি এবং তারুণ্যের প্রতীক। পাশাপাশি এই রঙের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নির্ভীকতার ধারণা। অপরদিকে সাদা হল পবিত্রতা এবং শান্তির প্রতীক। জাতীয় পতাকার মাঝে থাকা অশোক চক্র অবাধ অগ্রগতির প্রতীক। এর ২৪টি কাঁটা বুঝিয়ে দেয় তার গতি সর্বক্ষণের।
No comments:
Post a Comment