নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: বাগটুই কাণ্ডের জেরে ধীরে ধীরে শাসক দলের নেতাদের রহস্য উন্মোচন হচ্ছে। তাতে বাদ পড়েনি কেষ্ট- অনুব্রত মণ্ডল।
সোমবার নাজের মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমের সামনে তার স্বামী অভিযোগ করেন, মৃত উপপ্রধান ভাদু শেখের বেআইনি কয়লা ও বালির ব্যবসা ছিল। আর সেই বেআইনি ব্যবসার জন্য তোলার ভাগ দেওয়া হত অনেককেই। তাঁর দাবি, সেই বখরার ভাগ পেতেন ওসি, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন এমনকি জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও।
বগটুই-এর স্বজনহারাদের পরিবার আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোয় ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বগটুই-কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের নাম জড়াল এই প্রথম। শেখলালের অভিযোগ, ভাদু শেখের লোকজনই বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল।
শেখলাল আরও জানান, ভাদুর সঙ্গে ছিলেন ৪০-৫০টা ছেলে। তাঁরা পাথরের গাড়ি থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোলাবাজি করতেন। ভাদু খুন হওয়ার পর থেকে আর তাঁদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলেই দাবি নাজেমার স্বামীর।
সেই রাতে এতবার বোমা পড়া সত্ত্বেও সময় মতো কেন পুলিশ গেল না, অথচ থানাটি খুব বেশি দূরে ছিলনা। সেই প্রশ্নও তুলতেও তিনি ভুল করেননি। শেখলাল জানিয়েছেন, রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে আগুন লাগলেও, সেই আগুন নেভাতে দমকল যায় মঙ্গলবার সকালে। পাশাপাশি তাঁর দাবি এসডিপিও তাঁদের পাড়াতেই থাকেন। হেঁটে গেলেও ৫ মিনিট লাগবে। আর থানা থেকে গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছতে লাগে ৮ থেকে ১০ মিনিট। তা সত্ত্বেও সেই রাতে কেউ আসেনি।
তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরই বগটুইয়ের এই হত্যাকাণ্ড। আর সেই ভাদু শেখের বাবা নিজেই জানিয়েছেন, বখরার ভাগ না দেওয়ার জন্যই খুন হতে হয়েছে ভাদু শেখকে। বছর খানের আগে খুন হয়েছিলেন ভাদু শেখের ভাই। আর এবার ভাদু শেখ। তৃণমূল করতে গিয়েই দুই ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ভাদু শেখের।অর্থাৎ দুই ছেলে হারানোর মূল কারণ তৃণমূল কংগ্রেস।
No comments:
Post a Comment