Breaking News

Translate

Tuesday, September 28, 2021

অভিনব আন্দোলন! ২০১৪ প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণদের।

 নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: অভিনব আন্দোলন!  আন্দোলনের প্রকৃতি ছিল একটু অন্যরকম ।কি এই আন্দোলন? দাবিটা কি? কেন এই আন্দোলন? জানতে চাওয়ায় আন্দোলন কারিরা জানান - 



আমরা ২০১৪ প্রাইমারি টেটপাস ট্রেন্ড ক্যান্ডিডেট। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে প্রেস কনফারেন্স করে ঘোষণা করেছিলেন আমাদের সকলকে ধাপে ধাপে নিয়োগ করবেন। তারপর আমরা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নিই। কিন্তু প্রায় এক বছর হতে চলল আমরা এখনও নিয়োগ পাইনি। আমরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে, বিকাশ ভবনে যোগাযোগ করেছি, চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি। আমরা DI অফিসে, DM অফিসে ডেপুটেশন দিয়েছি। সেখান থেকেও কোনো আশানুরূপ রেজাল্ট পাইনি।


         তাই আজ আমরা ২০১৪ প্রাইমারি টেটপাস ট্রেন্ড নট ইনক্লুডেড একতা মঞ্চের উদ্যোগে সারা রাজ্য জুড়ে একযোগে প্রতিটি জেলার DPSC অফিসে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানদের একদিকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা অন্যদিকে ওনারা যেন আমাদের আবেদন উপরমহলে রাখেন তার জন্য ডেপুটেশন দিচ্ছি।



 আবার প্রশ্ন আপনারা ধর্না দিচ্ছেন কেন?


আমরা একদিনের শান্তিপূর্ণ প্রতীকী ধর্না কর্মসূচি পালন করছি এই বলে দিদি কেন চুপ করে আছেন? তিনি সবকিছু দেখেও কেন কথা বলছেন না? তিনি কেন বার্তা দিচ্ছেন না? দিদি তো আমাদের মা। আমরা মায়ের মুখ থেকে বার্তা চাই। মা আপনি মুখ খুলুন। আমাদের নিয়োগ দিয়ে বেকারত্বের যন্ত্রনা থেকে মুক্ত করুন। আপনার সন্তানরা পথে পথে ঘুরছে। আপনি আমাদের নিয়োগ দিন মা। আপনিই আমাদের একমাত্র আশা ভরসা।



 কপালে সাদা কাপড় কেনো?


সাদা শান্তির প্রতীক আমরা পথে পথে ঘুরতে চাইনা, আমরা বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইনা, আমরা শান্তি চাই। আমরা নিয়োগ পেয়ে শান্তি পেতে চাই। মা আমাদের শান্তি দিন। আমরা আপনার পাশে আছি। আমরা চাই আপনি ভবানীপুরে জয়ী হন। আমরা আপনাকে ভারতের সিংহাসনে দেখতে চাই।



হাতে কালো কাপড় কেনো?


পুলিশ আমাদের হাত বেঁধে রেখেছে। আমরা বহুবার দিদির সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু পুলিশ সহযোগিতা না করে আমাদের বাধা দেয়। পুলিশ আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এমনকি গতকাল আমরা ভবানীপুরের জনসভায় দিদির জয়লাভের শুভকামনা জানিয়ে ওনার হাতে একটা চিঠি তুলে দিতে ১০ জনের প্রতিনিধি দল গিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ আমাদের ফিমেল ক্যান্ডিডেটদের সাথে ক্রিমিনালের মত ব্যবহার করেছে। আমাদের ফিমেল ক্যান্ডিডেটদের অ্যারেস্ট করে আটটা পর্যন্ত লালবাজারে বসিয়ে রেখেছিল। তারা অনেকেই রাতে বাড়ি ফিরতে পারেনি। সারারাত হাওড়া স্টেশনে কাটিয়েছে। পুলিশের এই অমানবিক ব্যবহার কেন? কেন পুলিশ দিদিকে জয়লাভের শুভ কামনা জানাতে দিলেন না? কলকাতা পুলিশ কি চান না দিদি জয়লাভ করুক?

No comments:

Post a Comment

আপনি রিপোর্টার

আপনাদের এলাকার যে কোন খবর পাঠান এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে
9609 29 1919

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

9609291919