নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: বেশ কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে অনেকটাই জলস্তর বেড়েছিল গঙ্গায় ।অন্যদিকে ফরাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি লক গেট খোলার ফলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গঙ্গাপাড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে। সমস্ত লক গেট খোলার কারণে এক ধাক্কায় জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। হু হু করে জল ঢুকে পড়েছে গঙ্গার তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামগুলোতে।
সে কারণে বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে।সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের। সেখানে সায়দাপুর অঞ্চলের বয়রা ৭৮ নম্বর বিএসএফের ক্যাম্পও এখন জলের তলায় চলে গিয়েছে। সেখান থেকে বিএসএফ জওয়ানদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। ক্যাম্প ছেড়ে স্থানীয় একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন বিএসএফ কর্মীরা। খারাপ অবস্থা হয়েছে ফিরোজপুর, রানিনগর, জলঙ্গি-সহ একাধিক এলাকারও।
ফরাক্কার গঙ্গা তীরবর্তী বেওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর, কুলদিয়ার, বেনিয়া গ্রামে জল ঢুকেছে। পদ্মার জলস্ফীতি বাড়ায় সকাল থেকে বড়শিমুল, চাদপাড়া, বয়রা, মিঠিপুর, নসিপুর, ডিহিপাড়া গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে।আবার জলঙ্গীর ,পদ্মার জলস্ফীতির ফলে সীতানগর, বিশনম্বর, খাসমহল, চর কাকমারি-সহ একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্যারেজের জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার জেরে খুলে দেওয়া হলো ফরাক্কা ব্যারেজের সবকটি গেট।
ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার এ আজাদ স্বামী বলেন, 'উচ্চ প্রবাহে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জলস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। সেই কারনেই ১০৯টি লক গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।' প্রায় ১৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরাক্কার জেনারেল ম্যানেজার।
তবে স্বস্তির খবর হল, শুক্রবার সকাল থেকে সেই জলস্তর আস্তে আস্তে নামতে শুরু করেছে। আগামী দু'তিনদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলাতে পারে।এমনটাই আশা করছেন দুর্গত অঞ্চলের সাধারণ মানুষেরা।
No comments:
Post a Comment