নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় প্রথম লগ্ন থেকেই যুক্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অখিল গিরি। ২০০১ সালে প্রথম রামনগর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পেয়ে জেতেন অখিল গিরি।২০০৬ সালে আবার সেই একই বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি লড়াই করেন।তবে তত্কালীন সিপিএম এর প্রার্থী স্বদেশ রঞ্জন নায়ক ওই বিধানসভায় জয়ী হন।পুনরায় ২০১১ সালে আবার রামনগর এর আসনে নামেন।আর তার পর থেকেই প্রত্যেকবার তিনি জেতেন।
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর মানেই "অধিকারী"দের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল।তাই এতবার বিধায়ক হলেও কোনো বারেই মন্ত্রীসভায় জায়গা হয় নি।বলতে গেলে পুরো পূর্ব মেদিনীপুর চালাতো অধিকারী পরিবার।২০২০ সালে ১৯ শে ডিসেম্বর প্রথম শুভেন্দু অধিকারী আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি দলে যোগ দেন।তারপর তারই ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেন।আবার বাবা শিশির অধিকারী কাগজে কলমে তৃণমূলের সাংসদ থাকলেও তাকে বিজেপির সভা মঞ্চে দেখা গেছে।এমনকি মেজো ছেলের জয় ও বাংলার মানুষের রায় নিয়েও অনেক কথা বলেছেন।অপরদিকে সেজো ছেলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে ছিলেন। তৃণমূলের কোনো রাজনৈতিক সভায় তাকে দেখা যায়নি।
অর্থাৎ অধিকারী পরিবার একরকম একপাশে হয়ে গেছিলো।তার পরেও পূর্ব মেদিনীপুর সহ রাজ্যের প্রায় সব জায়গায় তৃণমূলের জয়জয়কার হয়েছে।তাই এই প্রথমবার রামনগর বিধানসভার বিধায়ক অখিল গিরি রাজ্যের মন্ত্রীসভার সদস্য হলেন। হলেন মৎস মন্ত্রী।তিনি বলেন এবারের নির্বাচনে আমার লড়াই ছিল বিজেপি তথা অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে।এবং ত সফল ভাবে উত্তীর্ণ।এবারও রামনগর বিধানসভার অখিল গিরির বিরোধী প্রার্থী ছিলেন স্বদেশ রঞ্জন নায়ক।তবে এবার তিনি বিজেপির প্রার্থী ছিলেন।
অখিল বাবু শপথ নেওয়ার পর জেলার উন্নোয়ানের কথা বলেন সেইসঙ্গে কভিডের কথাও উল্লেখ করেন।প্রথমবার রাজ্যের মন্ত্রীত্ব পেয়ে অনেক টাই খুশি অখিল গিরি।
No comments:
Post a Comment