নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: শেষমেষ নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে নিজের আবেগ প্রকাশ করে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে 2021 এর বিধানসভা লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের বক্তব্যে তিনি সুব্রত বক্সিকে বলেন যাতে নন্দীগ্রামে আসনে তার নামটা রাখা হয়।তিনি বলেন নন্দীগ্রাম আমার লাকি জায়গা। সেইসঙ্গে ভবানীপুরকে তিনি নেগলেক্ট না করে দুটি আসনে দাঁড়াতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে অধিকারী পরিবারকে আক্রমণ করেন সভা মঞ্চ থেকেই।এদিনের সভায় অধিকারী পরিবারের দুজন সংসদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন বিজেপি তো ওয়াশিং মেশিন।এমনকি ডিটারজেন্ট পাউডারের সাথে তুলনা করলেন ভাজপা সরকারকে। তিনি বলেন রাজনীতিতে তিন ধরনের মানুষ থাকেন লোভী, ভোগী এবং ত্যাগী তার বিশ্লেষণও করে প্রতিটি মানুষকে বুঝিয়ে দেন। বর্তমান কিছু মানুষ তৃণমূল সরকারে থেকে আখের গুছিয়ে এখন অন্য দলে যোগ দিচ্ছে । তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন ভালো হয়েছে দল পরিষ্কার হচ্ছে এবং বিজেপির কিছু নেতা-নেত্রীদের তিনি "মালপোয়া" বলে সম্বোধন করেন। নন্দীগ্রাম এবং হলদিয়ার সাথে একটি ব্রিজ তৈরি করে দুটি জায়গার যোগাযোগ স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন । শহীদ পরিবার দের হতে এদিন চার লক্ষ টাকা করে অনুদান তুলে দেন। মিসিং পরিবারের পরিবারের জন্য একটি 1000 টাকার ভাতার ব্যবস্থার কোথাও প্রস্তাব করেন। অধিকারী পরিবারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন সরকারের জন্মলগ্ন থেকে সাথে আছেন অখিল গিরি ।যিনি দ্বিতীয় হয়েছিলেন অর্থাৎ বাম জামানায় তিনি দ্বিতীয় হয়েছিলেন। তখন তো অনেকেই এই দলে আসেননি যারা চলে যাচ্ছেন বড় বড় কথা বলে কোন লাভ হবেনা। সিঙ্গুর আন্দোলন থেকেই শুরু হয়েছিল নন্দীগ্রাম আন্দোলন ২৬ দিনের অনসনের পর নার্সিং হোমে দুটো অপারেশনের পর ডাক্তারদের কথা না শুনে দৌড়ে এসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নন্দীগ্রামের আন্দোলনে অনেকভাবে তাকে বাধা দেওয়া হয় ।রাত দুটোর সময় তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি নন্দীগ্রামের এলাকায়। কোলাঘাটে একটি রুম বুক করে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল সেদিনের রাত কাটানোর জন্য।সেখানেও বাঁশ বেঁধে রেখেছিল বিরোধীরা। তখনকার গভর্নর বলেছিলেন ওয়াপাস চালা আও। মুখ্যমন্ত্রী সেদিন ফিরে আসেননি। তিনি আবু তহের শেখ সাফিয়ান এর নাম ও এদিন সভামঞ্চে থেকে কয়েকবার উচ্চারণ করেন। সুপ্রকাশ এর মত ছেলেকে এখন লড়তে হবে যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।তিনি আরো বলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানো অনেক বড় ব্যাপার আগে সুপ্রকাশ এর সঙ্গে লড়ুক তারপর তো তৃণমূলকে হারাবে। কৃষি বিল এর আইনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন যতক্ষণ আমার প্রাণ আছে ততক্ষণ আমি বাংলার মানুষের জন্য লড়ে যাব কিন্তু বাংলাকে বেচতে দেবোনা।
তবে মমতার সভা চলাকালীন হঠাৎ করে মাঠের মাঝখানে থেকে একদল বেকার যুবক একটি ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে হয়। সেই ফেস্টুনে লেখা "স্পেশাল টিচার নিয়োগ করুন না হলে আমাদের গুলি করে মেরে ফেলুন" এমন ঘটনাও ঘটেছে নন্দীগ্রামের সভামঞ্চের সামনেথেকে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের বসিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে অন্যান্য সমর্থক রা সভার একদম শেষের দিকে নিজের মুখেই বলেন আমি যদি নন্দীগ্রাম থেকে লড়ি তবে কেমন হবে? আমি ভবানীপুর কে নেগলেক্ট করছি না যদি দুটো জায়গায় লড়ি তবে কেমন হবে ? এখন 294 টা আসনে আমাকে লড়তে হবে।এই বার্তা তিনি গত বিধানসভার আগেও বলেছিলেন। তবে কি সত্যি সত্যি এবার নন্দীগ্রাম বিধানসভার আসনে স্বয়ং মমতা ব্যানার্জি দাঁড়াচ্ছেন ?
No comments:
Post a Comment