নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক ::পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সঙ্গীত জগতের ইন্দ্র পতন। গতকাল সকাল ১০ টায় কাঁথির সর্বজনশ্রদ্ধেয়া শ্রীমত্যা তৃপ্তি মাইতি সঙ্গীত জগতের মহা শূন্যতা তৈরি করে পরলোকে পাড়ি দিলেন।১৯৪৪ সালে ১৪ ই এপ্রিল পয়লা বৈশাখ রামনবমীর পূর্ন তিথিতে জন্ম গ্রহণ করেন।পিতা ছিলেন শরৎ চন্দ্র মাইতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরির কুঞ্জপুরের বাসিন্দা।পরবর্তী কালে কর্ম সূত্রে তিনি কলকাতার বাসিন্দা হন।তৃপ্তি দেবীর স্বামী রামব্রমহ মাইতি ২০০৭ সালে পরলোক গমন করেন।তিনিও সঙ্গীত জগতের পণ্ডিত মানুষ ছিলেন।কাঁথি শহরের আঠিলাগরির বসত বাড়িতে ওনারা "শ্রী শ্রী সারদা সঙ্গীত মন্দির" নামে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয় তৈরি করে ছিলেন।এই বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যাও ছিল অনেক।তৃপ্তি দেবী গত কয়েক দশক ধরে কাঁথি র সঙ্গীত জগতে নবজাগরণ এনেছিলেন।প্রথমে "অল ইন্ডিয়া রেডিও কটক" পরে কলকাতার আকাশবাণীতে নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশনে করতেন। বিক্ষাত সঙ্গীত সাধক এস এন রতন ঝংকার তৃপ্তি মাইতির গান শুনে তার খুব প্রশংশা করেছিলেন।তিনি রামকুমার চ্যাটার্জী,কার্তিক চন্দ্র রায়,তারাপদ চক্রবর্তী প্রমুখ সঙ্গীত সাধকদের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা নেন।তাঁর দুই কন্যা তাঁরাও সঙ্গীত ও নৃত্য শিল্পী।
তৃপ্তি মাইতীর প্রয়াণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পী সংসদের জেলা সভাপতি ডঃ চিত্তরঞ্জন মাইতি গভীর শোক প্রকাশ করেন।তিনি বলেন কাঁথি তথা এই জেলার সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।সেই সঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী,কাঁথি পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী শোক প্রকাশ করেন ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তৃপ্তি মাইতীর প্রয়াণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পী সংসদের জেলা সভাপতি ডঃ চিত্তরঞ্জন মাইতি গভীর শোক প্রকাশ করেন।তিনি বলেন কাঁথি তথা এই জেলার সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।সেই সঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী,কাঁথি পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী শোক প্রকাশ করেন ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
No comments:
Post a Comment