নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: এ রাজ্যের ছয় মাস আগেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল খুব ভালো রকম ছিল। আবার ছয় মাস পরেই তিন বিধানসভায় উপনির্বাচনের তৃণমূলের জয়জয়কার। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ৩৪ টি আসন থেকে কমে ২২ টি আসনে চলে আসে। আবার বিজেপির দুটি আসন থেকে বেড়ে ১৮ টি আসনের পৌঁছে যায়। কিন্তু তিন বিধানসভায় উপনির্বাচন হতেই সম্পূর্ণ উল্টো পুরান দেখা গেল।
কালিয়াগঞ্জ
কালিয়াগঞ্জ এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে প্রায় ৭৫ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ছয় মাস পরে সম্পূর্ণ ছবি পাল্টে গেল বিধানসভা উপনির্বাচনে। ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রায় ২৩ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করলো। অতএব বিজেপির লক্ষ্যভ্রষ্ট করে তৃণমূল লক্ষ্যভেদ করল কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে।
করিমপুর
করিমপুর তৃণমূলের একচেটিয়া জায়গা। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ওই কেন্দ্রে প্রায় ১৪ হাজারের ব্যবধান ছিল তৃণমূলের। বর্তমান তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী তথা রাজ্যের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু বিজেপির মুখ রক্ষা করতে পারেননি জয়প্রকাশ। দ্বিতীয় স্থানে থেকে সন্তুষ্ট হতে হয়েছে সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারকে।
খড়গপুর
খড়গপুর কেন্দ্র বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একছত্রাধিপতি। লোকসভা ভোটের নিরিখে এই কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এখানেও বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির মান থাকলো না। এনআরসি বাদে আর বিভিন্ন ইস্যুকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার চালিয়েছিল। বিজেপির জয়ের সুনিশ্চিত এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী প্রায় ২০ হাজার ভোটে জয়ী হলেন।তবেকি এই তিন উপনির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই চাপ বাড়িয়ে দিল বিজেপিকে?এমনটাই অনুমান রাজনৈতিক মহলে।
No comments:
Post a Comment